top of page
Search

Where to Look for Aid: New Ideas for Third World - Ziaur Rahman

  • Writer: Md Najmul Hasan Khan
    Md Najmul Hasan Khan
  • Nov 14, 2022
  • 2 min read

আজকে প্রায় পঞ্চাশ বছর পরেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেন প্রাসঙ্গিক সেইটা বুঝতে হইলে তার সময়ে ফিরে যাইতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের নায়ক জিয়াউর রহমান বীর উত্তম যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তখন পুরা দুনিয়াতে তেল নিয়ে একটা সংকট শুরু হয় যেইটাকে ১৯৭৯ তেল সংকট বা দ্বিতীয় তেল সংকট বলা হয়। এই সংকটের কারণে বাংলাদেশের মত দেশগুলা পড়ে মহাসংকটে।

তখন জিয়াউর রহমান প্রথমেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, বিশেষ করে আরব আমিরাত থেকে থেকে শর্ট-টার্ম ক্রেডিটে কম দামে তেল আনার ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু এরপরেও বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা তেল আনার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছিল।

এই সংকট মোকাবেলায় জিয়াউর রহমান তখন রীতিমত বিশ্বনেতার ভূমিকায় আবির্ভূত হন যেইটার প্রমাণ মেলে দি নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে জাতিসংঘের প্রতিটা দলিলে।

জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে জাতিসংঘে তার ভাষণে বলেন, "We have been doubly hit by the present world economic situation. We have to pay increasingly more for oil... The cost of our import bill for oil and petroleum products will amount to more than 50 per cent of our total foreign exchange earnings."
উনি প্রস্তাব করে বলেন, "I have taken the liberty of proposing that OPEC as a whole should assume concrete responsibility for the oil bill of the least developed countries, and we have all noted the decisions by Venezuela and Mexico to make available oil at concessional terms to the poorest countries in the Latin American and Caribbean region."

অর্থাৎ শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর সব দরিদ্র দেশগুলোকে কম দামে তেল আমদানীর সুযোগ দেয়ার দাবী জানান তিনি।

জিয়াউর রহমান এই ভাষণ কতটা আলোড়ন তুলেছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় জাতিসংঘ অধিবেশনের পরে তাকে একটি বিশেষ টকশোতে অতিথি করার ঘটনায় যেখানে তাকে এই দাবী তোলার জন্য প্রশংসা করা হয়।

বিশ্ব নেতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের গুরুত্ব বোঝা যায় আরেকই ঘটনায়। ১৯৮০ সালের আগস্টে যখন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে কীভাবে তেল আমদানীর বিষয়ে সহায়তা দেয়া যায় সেই বিষয়ে একটা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে শহীদ জিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

দি নিউ ইয়র্ক টাইমস তখন তৃতীয় বিশ্বের নেতা জিয়ার একটা সাক্ষাৎকার নিয়েছিল যেখানে তিনি ওপেককে আহ্বান জানান তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে অর্ধেক দামে ক্রুড তেল বিক্রির জন্য।

তেলের দামের বৃদ্ধি বা হ্রাস বৈশ্বিক রাজনীতির অংশ তাই জিয়াউর রহমানের কথায় তেলের দাম একদিনেই কমে যায়নি। কিন্তু এই রাজনীতিতে যে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো স্বার্থও জড়িত এইটা বিশ্বের সামনে তখন তুলে ধরে জিয়াউর রহমান ওপেক সদস্য দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের অবস্থান যেভাবে জোরালোভাবে তুলে ধরেছিলেন, তার জন্য বিশ্ব তাকে মনে রেখেছিল।

একজন ভিশনারি প্রেসিডেন্ট আর স্বস্তা অ্যাটেনশন সিকার প্রধানমন্ত্রীর পার্থক্য হচ্ছে ভিশনারি প্রেসিডেন্ট যা বলে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, আর অ্যাটেনশন সিকার ১৫০-২০০ মানুষের বহর নিয়ে জ্ঞান দিতে গিয়ে কিছুই আনতে পারে না।

সূত্র- ০১) জাতিসংঘের ভাষণ (https://documents-dds-ny.un.org/.../000/63/PDF/NL300063.pdf)
০২) নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন (https://www.nytimes.com/.../un-to-start-talks-on-how-to...)
০৩) নিউ ইয়র্ক টাইমসে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকার (https://timesmachine.nytimes.com/.../08/29/113949722.html...)
০৪) জাতিসংঘে জিয়াউর রহমান এবং ভেনিজুয়েলার রাফায়েল ক্যালডেরার ভাষণ নিয়ে প্রতিবেদন https://www.britishpathe.com/.../VLVA28XXPR4CN.../query/CUTS


 
 
 

Comments


bottom of page